এভারকেয়ারের পথে জুবাইদা ও জাইমা রহমান
ডেস্ক রিপোর্ট। || বিএমএফ টেলিভিশন
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে এবং তাকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে এবং তাকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে তারা হাসপাতালের উদ্দেশে বের হন।
এর আগে বিকেল ৪টার দিকে পূর্বাচলে ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত এক বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোকপাত করেন।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের তুলনা করে তিনি বলেন, ‘৭১-এ এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তেমনি ২০২৪ সালে সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে।’
তারেক রহমান তার বক্তব্যে একটি নিরাপদ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘পাহাড়-সমতল, মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাইকে নিয়ে আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সবাই নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবে।’
শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে হবে।
’ এ সময় মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের বিখ্যাত উক্তি টেনে তিনি বলেন, “আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম-এর মতোই ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান’। দেশ গড়ার জন্য আমার সুস্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে, যা বাস্তবায়নে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।’