রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়াই গণভোটের সুযোগ আছে: বদিউল আলম

ডেস্ক রিপোর্ট। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:০৮, শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার মন্তব্য করেছেন যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হলেও দেশে গণভোটের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, গণভোটের বিষয়ে সরকারের উচিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার মন্তব্য করেছেন যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হলেও দেশে গণভোটের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, গণভোটের বিষয়ে সরকারের উচিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হলেই গণতন্ত্র সুরক্ষিত হবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মজুমদার আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। তাঁর মতে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে হবে কি না, সে ব্যাপারে সরকারকে সুপারিশ করবে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারকেই ইসি'র সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিতে হবে।

সুজন সম্পাদক শেখ হাসিনা সরকারের রেখে যাওয়া 'স্বৈরাচারী ব্যবস্থার' সমালোচনা করে বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ পাশের মাধ্যমে সেই কাঠামোর সংস্কার করা দরকার। তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, গণভোটে যেন দেশের মানুষের সম্মতি থাকে এবং 'হ্যাঁ' ভোট পড়ে, তার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।

বদিউল আলম মজুমদার হুঁশিয়ারি দেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর যদি পরবর্তী সরকার এটি বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তাদের পরিণতিও শেখ হাসিনার সরকারের মতো হবে। তিনি দুর্নীতির পালাবদল বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

তিনি দেশে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, নির্বাচন ও রাজনৈতিক দল থেকে দুর্বৃত্তায়ন দূর করতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও কার্যকর করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবং জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য এখন ‘সিলভার লাইন থেকে গোল্ডেন লাইনে’ পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী ১৫ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জুলাই সনদ স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। কিরণ সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে সনদ স্বাক্ষরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এতে ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের’ অন্যায় ও জুলাই বিপ্লবে শহীদের হত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং ‘পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি’ ফিরে আসার শঙ্কা তৈরি হবে। তিনি বিভেদের রাজনীতি পরিহার করে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

ছায়া সংসদে তেজগাঁও কলেজ ও প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়