আইনের শাসন কী, তা এবারের নির্বাচনে দেখাতে চাই: সিইসি

ডেস্ক রিপোর্ট। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৫১, শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

এবারের জাতীয় নির্বাচনে আইনের শাসন (ল অ্যান্ড অর্ডার) কী তা প্রতিষ্ঠা করে দেখাতে চায় নির্বাচন কমিশন। এই মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন। শনিবার (১১ অক্টোবর) চট্টগ্রামে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়াসংক্রান্ত এক কর্মশালায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

এবারের জাতীয় নির্বাচনে আইনের শাসন (ল অ্যান্ড অর্ডার) কী তা প্রতিষ্ঠা করে দেখাতে চায় নির্বাচন কমিশন। এই মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন। শনিবার (১১ অক্টোবর) চট্টগ্রামে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়াসংক্রান্ত এক কর্মশালায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

সিইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ভোটগ্রহণকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারই হবেন সেই কেন্দ্রের ‘চিফ ইলেকশন অফিসার’ এবং আইন অনুযায়ী সব ক্ষমতা প্রয়োগের দায়িত্ব তাঁর ওপরই থাকবে। নাসির উদ্দিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র স্থগিত করে আইন প্রয়োগ করতে হবে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ক্ষমতা দেওয়া সত্ত্বেও যদি প্রিসাইডিং অফিসার তা প্রয়োজনমতো ব্যবহার না করেন, তবে তা ভালো চোখে দেখা হবে না। তিনি নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সাহসের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চিহ্নিত করেন।

তিনি বলেন, প্রশাসনিক, আইনগত ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ থাকলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সবচেয়ে কঠিন কাজ। এ জন্য তিনি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান লক্ষ্য হলো একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা। এই লক্ষ্য পূরণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ভূমিকা অপরিহার্য।

তিনি বলেন, এমনভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সাজাতে হবে, যাতে বিভিন্ন পেশার ও কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরাও দক্ষ হয়ে ওঠেন। তিনি 'ওয়ান সাইজ ফিটস অল' পদ্ধতির বদলে অংশগ্রহণকারীদের পটভূমি বিবেচনা করে প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়