চীন থেকে উন্নত প্রযুক্তি আনতে চায় পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৫৮, রবিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৫, ১৬ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও কৌশল গ্রহণের জন্য পাকিস্তান চীনের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে আগ্রহী। রোববার (৩১ আগস্ট) চীনের তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল আর্থকোয়েক সিমুলেশন সেন্টার পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও কৌশল গ্রহণের জন্য পাকিস্তান চীনের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে আগ্রহী। রোববার (৩১ আগস্ট) চীনের তিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল আর্থকোয়েক সিমুলেশন সেন্টার পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় চীনের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারকে প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের পদ্ধতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হবে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানে বর্তমানে চালু থাকা উদ্যোগগুলো—যেমন: ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টার এবং চায়না-পাকিস্তান যৌথ ল্যাব আরও কার্যকর করতে হবে। তিনি দুর্যোগ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী চলমান বন্যা পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন এবং বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সহায়তায় দেশজুড়ে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।

তিনি জানান, নারোয়াল, সিয়ালকোট, ওয়াজিরাবাদ, হাফিজাবাদ, চিনিওট ও ঝাং অঞ্চলে অতিরিক্ত ত্রাণবাহী কাফেলা পাঠানো হয়েছে, যা প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (পিডিএমএ) কাছে হস্তান্তর করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে (এনডিএমএ) পাঞ্জাব সরকাররের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে আশ্বস্ত করেন যে, ‘বন্যায় আক্রান্ত পরিবারগুলোর জন্য ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রযুক্তি, নবউন্নয়নকৃত চিকিৎসা উদ্ধার যানবাহনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্রিফ করা হয়। তাকে জানানো হয়, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় একাধিক যৌথ প্রকল্প চালু রয়েছে—যেমন চায়না-পাকিস্তান যৌথ ল্যাব ফর ডিজাস্টার অ্যান্ড এমারজেন্সি মেডিসিন, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কো-অপারেশন সেন্টার এবং চায়না-পাকিস্তান ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল।

এটি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ-পরবর্তী প্রথম চীন সফর।

ওই যুদ্ধে পাকিস্তান অন্তত ৬টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে, যার মধ্যে ছিল অত্যাধুনিক ফরাসি নির্মিত রাফাল যুদ্ধবিমান।

এটিই প্রথমবারের মতো চীনা সামরিক সরঞ্জাম বাস্তব যুদ্ধক্ষেত্রে পশ্চিমা প্রযুক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়।

এ ঘটনার পর সামরিক প্রযুক্তিতে চীনের মর্যাদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কারণ পশ্চিমা বিশ্লেষকরাও স্বীকার করেছেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের দিক থেকে চীন এখন পশ্চিমা দেশগুলোর সমতুল্য পর্যায়ে পৌঁছেছে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়