গাজা ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ায় নজিরবিহীন বিক্ষোভ, লাখো মানুষের অংশগ্রহণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন
গাজা সংকটের প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়ায় নজিরবিহীন বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি বৈশ্বিক উদ্বেগের একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গাজা সংকটের প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়ায় নজিরবিহীন বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি বৈশ্বিক উদ্বেগের একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গত রোববার, ঠান্ডা বাতাস ও ভারী বৃষ্টির মধ্যেও কমপক্ষে ৯০ হাজার মানুষ সিডনি হারবার ব্রিজ অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নেন। আয়োজকদের দাবি, এই সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি।
ফিলিস্তিনি অ্যাকশন গ্রুপের আয়োজক জোশ লিস জানান, ‘আমরা দেখেছি মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। সেই আবেগকে সম্মান জানাতেই সিডনি হারবার ব্রিজের মতো প্রতীকী জায়গা বেছে নিই, যাতে সারা দুনিয়া আমাদের বার্তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে।’
বিক্ষোভটি মাত্র সাত দিন আগে পরিকল্পনা করা হয়, কিন্তু এত অল্প সময়ে এত বড় সমর্থন পাওয়া দেখে আয়োজকরাও বিস্মিত। বিক্ষোভে চার্চ, ট্রেড ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমপিরাও অংশ নেন। এর আগে এমন সমর্থন কখনো দেখা যায়নি।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটেও এই আন্দোলনের প্রতিধ্বনি দেখা গেছে। গ্লাস্টনবেরি উৎসবে শিল্পীদের প্রো-প্যালেস্টাইন বার্তা এবং নিউ ইয়র্কে ইসরায়েল-বিরোধী অবস্থানে থেকেও মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানির বিজয় এই আন্দোলনের প্রতি নতুন উদ্দীপনা এনেছে বলে জানান লিস।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন, ‘আমি এই মাত্রার বিক্ষোভ দেখে অবাক হইনি। গাজায় যা ঘটছে, বিশেষ করে মানবিক বিপর্যয়, নারী-শিশু হত্যাকাণ্ড, ত্রাণ আটকে দেওয়া—এগুলো অস্ট্রেলিয়ানদের গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। জনগণের এই বিক্ষোভ শান্তি ও যুদ্ধবিরতিরই প্রতিফলন।’
এই বিক্ষোভ এখন শুধু একটি প্রতিবাদ নয়—বরং এক বৈশ্বিক বার্তা, যা গাজায় যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিল।