গাজা সিটি নিয়ে ইসরায়েলের সিদ্ধান্তে স্পষ্ট বার্তা সৌদি আরবের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন
গাজা সিটি দখলের ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘জাতিগত নিধনের কর্মসূচি’ বলে আখ্যায়িত করেছে সৌদি আরব। গতকাল শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তীব্র নিন্দা জানায়।
গাজা সিটি দখলের ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ ও ‘জাতিগত নিধনের কর্মসূচি’ বলে আখ্যায়িত করেছে সৌদি আরব। গতকাল শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তীব্র নিন্দা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সৌদি আরব ‘সবচেয়ে কঠোর ভাষায়’ গাজা দখলের যেকোনো ইসরায়েলি পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে। এ পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনিদের ভূমির ওপর তাদের ঐতিহাসিক ও আইনগত অধিকারকে স্পষ্টভাবে অগ্রাহ্য করার শামিল বলে উল্লেখ করা হয়।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গাজার ওপর অবরোধ ও অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারসহ ইসরায়েলের ‘অমানবিক কর্মকাণ্ড’ চরমপন্থী নীতির প্রতিফলন, যার উদ্দেশ্য জোরপূর্বক ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করা।
রিয়াদ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই নীরবতা মানবিক বিপর্যয় আরও তীব্র করছে এবং আন্তর্জাতিক আইনের নীতিমালা দুর্বল করছে।
সৌদি আরব অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধ, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও দ্রুত মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরি ও কার্যকর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে তাদের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এর আগে, শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৬১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং দুর্ভিক্ষে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।