পেঁয়াজের চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত পাবনা'র সুজানগরের কৃষক'রা
বুলবুল হাসান, পাবনা প্রতিনিধি : || বিএমএফ টেলিভিশন
পেঁয়াজ উৎপাদনের শীর্ষ জেলা পাবনা।পেঁয়াজের রাজ্য খ্যাত গাজনার বিল অধ্যুষিত পাবনা'র সুজানগর উপজেলা।
পেঁয়াজ উৎপাদনের শীর্ষ জেলা পাবনা।পেঁয়াজের রাজ্য খ্যাত গাজনার বিল অধ্যুষিত পাবনা'র সুজানগর উপজেলা।
সুজানগরের বিস্তৃত বিল অঞ্চলে ধুম পড়েছে পেঁয়াজের বীজতলায় চারা পরিচর্যার কাজ। দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি পেঁয়াজের উৎপাদন হয় পাবনা জেলাতেই। । এ জেলার মধ্যে সুজানগর, সদর, সাঁথিয়া, বেড়া, ঈশ্বদীতে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবাদ হয়। জানা যায় চলতি বছর পাবনায় পেঁয়াজের বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৪ শত ১৫ হেক্টর জমিতে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ৭ শত ৯০ হেক্টর জমিতে আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৯ লাখ মেট্রিক টন। কৃষক'রা জানান ৪৫ দিনে বীজ থেকে চারা হলে তা লাগানো হয় জমিতে। পরে সেই চারা থেকে তিন থেকে চার মাসের মধ্যে হবে পরিপক্ব পেঁয়াজ। তবে বীজ সার সহ চাষাবাদে আনুষাঙ্গিক সবকিছুর দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি হলে ন্যায্য মূল্য নিয়ে চিন্তিত কৃষক। এছাড়াও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সার কিনে কৃষি কাজ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক।
কৃষক আব্দুল্লাহ জানান কৃষি কাজ করতে গিয়ে সার নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছি। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিলার থেকে সার পাওয়া যায় না। পাঁচ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে গিয়ে মহাবিপদে আছি।
কৃষক রহিম বলেন, পেঁয়াজের চারা পরিচর্যা করা অত্যন্ত ব্যয় বহুল। চারায় পানি দিতে হয়, শ্রমিক সংকট, সারের বাড়তি দাম, অনেক খরচ, পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্যে পাওয়া নিয়ে ভয় থাকে।
সুজানগর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর সুজানগর উপজেলায় পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। এখন থেকে মোট উৎপাদিত হতে পারে ৩ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টনের মতো। বীজতলায় চারা পরিচর্যার জন্য আমাদের কৃষি অফিস থেকে তাদের সার্বিক সহোযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।