তীব্র শীতে বিপর্যস্ত ইবি: চলছে শীতকালীন ছুটি
ইবি প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ও এর আশপাশের এলাকায় তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। চলতি সপ্তাহজুড়ে দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১২ ডিগ্রিতে। গত দুই দিন ধরে কুয়াশার প্রকোপের সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসের তীব্রতাও বেড়েছে, ফলে সকাল ও রাতের সময় শীতের অনুভূতি আরও বেশি তীব্র হয়ে উঠেছে।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ও এর আশপাশের এলাকায় তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। চলতি সপ্তাহজুড়ে দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১২ ডিগ্রিতে। গত দুই দিন ধরে কুয়াশার প্রকোপের সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসের তীব্রতাও বেড়েছে, ফলে সকাল ও রাতের সময় শীতের অনুভূতি আরও বেশি তীব্র হয়ে উঠেছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। পাশাপাশি আগামী কয়েক সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম থাকায় শীতের এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ০৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতকালীন ছুটি চলমান রয়েছে। ছুটির কারণে ক্লাস ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের আবাসনের কথা বিবেচনায় নিয়ে আবাসিক হলগুলো খোলা রাখা হয়েছে। ফলে ছুটির মধ্যেও ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন অনেক শিক্ষার্থী।
শীতের কারণে যেমন একদিকে ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে শীতের আমেজ উপভোগ করতেও দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ভোর ও সকালে অনেক শিক্ষার্থী বন্ধুদের সঙ্গে বের হচ্ছেন ইবি সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে খেজুরের রস পান করতে। শীতের সকালে খেজুরের রস পানকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক ভিন্ন আনন্দঘন পরিবেশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, “ছুটি থাকলেও হলে থাকতে হচ্ছে। রাতে শীত খুব বেশি অনুভূত হয়, বিশেষ করে কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে পড়াশোনা করতেও সমস্যা হচ্ছে।”
অন্য এক শিক্ষার্থী জানান, “রাতে শীত বেশ কষ্টকর হলেও সকালে শীতের পরিবেশটা উপভোগ্য লাগে। বন্ধুরা মিলে খেজুরের রস খেতে বের হলে শীতটা আর অতটা কষ্টের মনে হয় না।”
তীব্র শীত ও কুয়াশার এই সময়ে ইবি ও এর আশপাশের এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়লেও শীতকালীন ছুটিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসজুড়ে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন এক নীরব ও শীতঘেরা আবহ।