গাংনীতে জামায়াতে ইসলামী কর্মীদের উপর বিএনপির হামলা,আহত ৪

বিএমএফ টেলিভিশন ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:১২, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে ইয়ানতের টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জামায়াতে ইসলামীর চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে বিএনপি পাল্টা অভিযোগ করে জানান, জামাত কর্মীরা বিএনপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে ইয়ানতের টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জামায়াতে ইসলামীর চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে বিএনপি পাল্টা অভিযোগ করে জানান, জামাত কর্মীরা বিএনপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন— গাংনী উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের মৃত আতাহার বিশ্বাস এর ছেলে আলাউদ্দিন বাবলু (৫৫), সাহারবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী রবিউল ইসলাম রুবেল (৩৩, ভাটপাড়া ইউনিট বায়তুল মাল সম্পাদক সোহরাব হোসেন (৬৫) ও তার ছেলে শিশির হোসেন (২৮)। এদের মধ্যে আলাউদ্দিন বাবলু ও সোহরাব হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী দুজনকে দেয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা।

আহত সুত্র জানায়, সকালে স্থানীয় জামায়াতের কয়েকজন নারী কর্মী ইয়ানতের টাকা উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়ে দোকান মালিক সোহরাব হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় দোকানে উপস্থিত স্থানীয় বিএনপির কর্মী জামাল ইয়ানতের টাকা ও ভোট চাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সোহরাব হোসেন ও তার ছেলে শিশির হোসেনের ওপর চড়াও হন বিএনপির কয়েকজন কর্মী।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সোহরাব হোসেন বিষয়টি জামায়াতের স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে জানান। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে জামায়াতে ইসলামীর চারজন নেতাকর্মী আহত হন। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।

সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে ভর্তির খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমির রবিউল ইসলামসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে যান এবং আহতদের খোঁজখবর নেন। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়