সীমান্তে গোলাবর্ষণের বিকট শব্দ, আতঙ্কে উখিয়া-টেকনাফের মানুষ
ডেস্ক রিপোর্ট। || বিএমএফ টেলিভিশন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলার বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে কয়েক দফা বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্তবর্তী অন্তত ১৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় অনেক এলাকায় ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠায় সাধারণ মানুষ ভূমিকম্পের আশঙ্কায় রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলার বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে কয়েক দফা বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্তবর্তী অন্তত ১৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় অনেক এলাকায় ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠায় সাধারণ মানুষ ভূমিকম্পের আশঙ্কায় রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
বিজিবি উখিয়া ব্যাটালিয়নের (৬৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জসীম উদ্দিন জানান, রাত ১০টা ৩৮ মিনিট থেকে ১০টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বলিবাজার এলাকায় বড় ধরনের তিনটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিজিবির তথ্যমতে, মিয়ানমার বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে থাকা বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালায়। ঘটনাস্থলটি বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার ভেতরে হলেও শব্দের তীব্রতা ছিল প্রকট।
উখিয়ার পালংখালী ও টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার বাসিন্দারা জানান, বজ্রপাতের চেয়েও কয়েক গুণ শক্তিশালী এই শব্দ আগে কখনো শোনেননি তারা। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আশ্রিত রোহিঙ্গারাও একই শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মংডুভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, জান্তা বাহিনীর এসএসএ যুদ্ধবিমান উত্তর মংডুর কিয়াও চাউং ডিভিশন ও গান চাউং ব্যাটালিয়নে তিনবার গোলাবর্ষণ করেছে।
রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর চলমান সংঘাতের জেরে গত ১৩ ও ১৭ ডিসেম্বরও সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের সব বিওপি ও ক্যাম্পে টহল জোরদার করেছে এবং সর্বোচ্চ গোয়েন্দা নজরদারি বজায় রাখছে।