সবাইকে কাদিয়ে না ফেরার দেশে ড. জিল্লুর রহমান
বিশেষ প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন
আজ ভোর ৫ টায়, হৃদয়ের গভীরে অশ্রু ঝরিয়ে প্রিয় ভাই, শিক্ষক, পথপ্রদর্শক—প্রফেসর ড. জিল্লুর রহমান ভাই এই দুনিয়ার মায়া ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার ভায়না জনপদ থেকে উঠে আসা এক দীপ্তিমান নক্ষত্র ছিলেন তিনি। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫-৯৬ সেশনের ইংরেজি বিভাগে ভর্তির মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর উচ্চশিক্ষার পথচলা। শুরু থেকেই মেধা, মনন ও নেতৃত্বগুণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম অগ্রসেনানী। বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদকসহ নানা গুরুদায়িত্ব তিনি নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছেন।
শুধু নেতৃত্বেই নয়—প্রতিটি সম্পর্কেই ছিলেন মধুর, ছিলেন আপন। সিনিয়র-জুনিয়র, বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠী—সবার প্রিয় ছিলেন তিনি। কী অকপটে মিশতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে, কী অসাধারণ আন্তরিকতায় কাজ করতেন নিজ জেলার উন্নয়নের জন্য।
আন্দোলনের পিচ্ছিল পথে তিনি হারিয়েছেন শহীদ মামুন, শহীদ মুহসীন, শহীদ রফিকসহ অসংখ্য প্রিয় মুখ; তাঁদের পাশে থেকে তিনিও ছিলেন এক সাহসী সহযোদ্ধা। শিক্ষা সম্পাদক থাকাকালে ছাত্রদের ক্যারিয়ার গঠনে যে অসাধারণ অবদান রেখেছেন, তা আজো অনেকেই কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর মেধা, নেতৃত্ব ও শিক্ষাদানের গভীর ছাপ রেখেছেন সহকর্মী ও ছাত্রদের হৃদয়ে। প্রিয় দুই সন্তানের স্নেহময় পিতা, পরিবারপ্রেমী এই মানুষটি সব জায়গাতেই ছড়িয়ে গেছেন ভালোবাসার সুবাস।
মাত্র এক মাস আগে ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসা চললেও, আল্লাহর ফায়সালা ছিল অন্য কিছু।
আজ ভোরে ঢাকার ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরন করেন। তার অকাল মৃত্যুতে বিএমএফ পরিবার শোকাহত।
এক শোক বার্তায় বিএমএফ টেলিভিশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহুরুল ইসলাম তারেক ও পরিচালক তোহিদুজ্জামান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।