তেঁতুলিয়া প্রশাসনের অভিযাণে সড়কের দু’ধারে বালু-পাথরের স্তূপ অপসারণ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: || বিএমএফ টেলিভিশন
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দূর্ঘটনা প্রতিরোধ, সচেতনতা তৈরি ও পর্যটন উন্নয়নে সড়কের দু’পাশে রাখা পাথর-বালি অপসারণে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ), হাইওয়ে পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করছেন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দূর্ঘটনা প্রতিরোধ, সচেতনতা তৈরি ও পর্যটন উন্নয়নে সড়কের দু’পাশে রাখা পাথর-বালি অপসারণে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ), হাইওয়ে পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করছেন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু।
তেঁতুলিয়ার পর্যটনস্পট ডাকবাংলোর পিকনিক কর্ণার হতে বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট এ কর্মসূচির আওতায় সরদারপাড়া এলাকায় ডাকবাংলো পিকনিক কর্ণার থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়কে এই অভিযান পরিচালনাকালে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু ও পাথরের স্তুূপ সরিয়ে ফেলতে দেখা যায়।
সড়কে চলাচলে দূর্ঘটনা প্রতিরোধে ও পর্যটকদের নিরাপদে চলাচলের লক্ষে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন। সড়কের দু’ধারে অবৈধভাবে রাখা পাথর-বালি ও ইটের খোয়া সড়ক হতে সরাতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মৌখিকভাবে নির্দেশ দেয়া হলেও তা না মানায় এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানের প্রাথমিকভাবে উপজেলা প্রশাসন সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। এতেও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আইন অমান্য করলে সড়ক আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে জরিমানা করা হতে পারে বলে সতর্কতা প্রদান করা হয়।
এসময় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী, হাইওয়ে পুলিশের এসআই শাহিন, জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্ত পরিবেশকর্মী মাহমুদুল ইসলাম মামুন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকীসহ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন পঞ্চগড়,হেল্প সোসাইটি, শাপলা ব্লাড ফাউন্ডেশন,তেঁতুলিয়া রক্তযোদ্ধা ও রক্তদান,তারুণ্য, ঐক্য, সীমান্ত ব্লাড সোসাইটি, উৎস,জাগ্রত তেতুলিয়া ও তেঁতুলিয়া ব্লাড সোসাইটি নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
পরিবেশকর্মী মাহমুদুল ইসলাম মামুন বলেন, পথ তো সবার, সেই পথকে আমরা দূর্ঘটনা প্রবণ করে রাখি, যা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বুঝতে পেরেছেন। তাই প্রশাসন আজ যে দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়কের দুপাশ থেকে বালু ও পাথর সরানোর প্রয়াস চালাচ্ছেন সেজন্য ধন্যবাদ জানাই। একই কথা জানান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাইওয়ে পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছি। আমরা প্রাথমিকভাবে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে আমরা সবাইকে সচেতন করবো তারা যেন নির্মাণ সামগ্রী নিয়ম অনুযায়ী সংরক্ষণ করে। যদি তারা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহিন বলেন, আজকে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, হাইওয়ে পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী ফোরাম রয়েছে তাদেরকে নিয়ে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে ও পর্যটকদের চলাচলের সুবিধা প্রদানে আজকে আমরা রাস্তার পাশে যারা বালি পাথরের ব্যবসা করেন তার সাথে বালি পাথরের কারণে যে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন এ প্রতিরোধে আজকে আমরা অভিযান শুরু করেছি।
আমরা খুবই আশাবাদী এ ধরণের কাজ যদি আমরা করতে পারি, সবাইকে সচেতন করতে পারি তাহলে আমাদের তেঁতুলিয়া বা পঞ্চগড়ের যে সমস্যাটা রয়েছে, যে রাস্তায় দূর্ঘটনৃা মোটরসাইকেল, ট্রাক, বাসের সাথে হচ্ছে, এগুলো আমরা রোধ করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চিন্তা হলো সদুরপ্রসারি, প্রথমে আমরা নিজেরা কাজ করি মানুষদের সচেতন করি আর যখন দেখবো যে আমাদের আইনগুলো করতে হচ্ছে তখন কাউকে বাধ্য করতে হচ্ছে সেসময় আমরা আইন প্রয়োগ করবো। মূলত আমরা কাজ শুরু করছি না আমরা সকলকে সচেতন করি সমাধানে চেষ্টা করি। জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।