নুরের আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি, নতুন সমীকরণের গুঞ্জন

ডেস্ক রিপোর্ট। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:২৬, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা, কৌতূহল ও নানা জল্পনা।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে তীব্র উত্তেজনা, কৌতূহল ও নানা জল্পনা।

রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছে—এই আসনটি নাকি রাখা হয়েছে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের জন্য। এমন সম্ভাবনাকে ঘিরে স্থানীয় রাজনীতি থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যন্ত তোলপাড় চলছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। তালিকায় পটুয়াখালীর বাউফল (পটুয়াখালী-২) ও গলাচিপা-দশমিনা (পটুয়াখালী-৩) আসন দুটি শূন্য রাখা হয়।

এই ঘোষণার পর থেকেই পটুয়াখালী-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। বিশেষ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় নেতা হাসান মামুনের নাম তালিকায় না থাকায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে নানা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপি সম্ভবত কৌশলগত কারণেই এই আসনটি খালি রেখেছে—ভিপি নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সম্ভাব্য জোট বা সমঝোতার অংশ হিসেবেই এমন পদক্ষেপ হতে পারে।

ইতোমধ্যে স্থানীয়ভাবে ভিপি নুরের দলীয় কর্মীদের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে পটুয়াখালী-৩ আসনটি এখন জেলার সবচেয়ে আলোচিত নির্বাচনি আসনে পরিণত হয়েছে।

কয়েক মাস আগেও এই আসনকে কেন্দ্র করে নুরুল হক নুর ও হাসান মামুনের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তখন প্রশাসনকে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়