কুষ্টিয়া পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানের পর আবারো স্থাপনা নির্মাণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : || বিএমএফ টেলিভিশন
কথায় আছে জোর যার, মুল্লুক তার, কুষ্টিয়া শহরের কলেজ মোড় এলাকায় সরকারি জায়গা দখল ও উচ্ছেদ নিয়ে চলছে তালবাহানা। পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানের মাত্র ৯ দিনের মাথায় আবারো নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে—যা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়দের মাঝে।
কথায় আছে জোর যার, মুল্লুক তার, কুষ্টিয়া শহরের কলেজ মোড় এলাকায় সরকারি জায়গা দখল ও উচ্ছেদ নিয়ে চলছে তালবাহানা। পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানের মাত্র ৯ দিনের মাথায় আবারো নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে—যা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়দের মাঝে।
দীর্ঘদিনের যানজট নিরসন ও সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে সম্প্রতি পৌরসভা ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ মোড় এলাকায় ১৯টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। অভিযানকালে জানানো হয়েছিল, শহরকে শৃঙ্খলিত ও জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতেই এ অভিযান।
শনিবার, ১ নভেম্বর, দেখা যায়, উচ্ছেদ করা স্থানেই চলছে নতুন স্থাপনা নির্মাণকাজ। তবে শ্রমিকেরা কার নির্দেশে কাজ করছেন, সে বিষয়ে কেউ কথা বলতে চাননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে প্রভাবশালী মহলের মদদেই ফের এই দখল চলছে। এতে উচ্ছেদ অভিযান কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করছেন তারা।
কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, ‘এই শহরে যানজট একটি বড় সমস্যা। সড়ক প্রশস্তকরণের লক্ষে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানকে আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে আবার নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ করা নিছক হাস্যকর। শুনছি নতুন করে বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। এই পুরো প্রক্রিয়া আমাদের গভীরভাবে হতাশ করেছে।’
রবিবার, কলেজ মোড়ে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু হওয়াই,কুষ্টিয়া সচেতন মহল মানব বন্ধন করেছে।
পরিবেশবিদ কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের অনেক শহরে রাস্তা প্রশস্ত করতে বড় বড় ভবনও ভাঙতে দেখা গেছে। কুষ্টিয়ার কলেজ মোড়ে দখলমুক্ত করে কিছু দোকান উচ্ছেদ হওয়ায় মনে হয়েছিল শহরের রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার কাজ অবশেষে শুরু হয়েছে—এটি মাইলফলক হবে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই আবার একই জায়গায় নতুন করে দোকান গড়ে উঠছে। এই ভাঙা-গড়ার খেলায় আমাদের আশার আলো নিভে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে, তবে কুষ্টিয়ার সব রাস্তা প্রশস্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘অনেকেই অনেক কিছু বলবে এটাই স্বাভাবিক। নির্মাণকাজের বিষয়টি প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা সবাই অবগত। আগেই পৌরসভা থেকে কিছু জায়গা বরাদ্দ দেয়া ছিল। তবে সড়ক প্রশস্ত করার জায়গা রেখেই কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তা না মানলে আবার উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।’