মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপির দুপক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় রণক্ষেত্র

মেহেরপুর প্রতিনিধি। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:৫৭, বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন কেন্দ্রিক দ্বন্দের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গাংনী উপজেলা শহর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন ও জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় আমজাদ হোসেন ও জাভেদ মাসুদ মিল্টনের কার্যালয়ে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। তবে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন কেন্দ্রিক দ্বন্দের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গাংনী উপজেলা শহর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন ও জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় আমজাদ হোসেন ও জাভেদ মাসুদ মিল্টনের কার্যালয়ে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। তবে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুর-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাস স্ট্যান্ড দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন পক্ষের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা করে। এর পরে আমজাদ হোসেনে তার কার্যালয়ে অবস্থান নিলে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের নেতাকর্মীরা অফিসে হামালা চালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। নেতাকর্মীরা আমজাদ হোসেনর অফিসের সামনে থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে ভাংচুর করে।
এদিকে হামলার খবর পেয়ে হাসপাতাল বাজার থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে আমজাদ হোসেন পক্ষের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে বাস স্ট্যান্ডে আসেন। এসময় আমজাদ হোসেন পক্ষের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অফিসের হামলা চালায়। অফিসের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র এবং চেয়ার বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আমজাদ হোসনের নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল চলছে।
তবে ঘটনার শুরুতে পুলিশের একটি পিকআপ এবং পরে সেনাবাহিনীর কয়েকটি টহল গাড়ী আসলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে আবারও হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হলে পুলিশের কোন কার্যক্রম দেখা যায়নি।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানি ইসরাইল।
প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মেহেরপুরের দুটি আসনে এমপি প্রার্থী ঘোষণা করেন। এর পর থেকেই মেহেরপুর-২ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য বিক্ষোভ মিছিল করেছিল জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন সমর্থকরা।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়