চট্টগ্রামে মধ্যরাতে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত, আহত অন্তত ২০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৪৪, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় মধ্যরাতে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৮) নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় মধ্যরাতে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৮) নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. সাজ্জাদ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হিরাকান্দা এলাকার মো. আলমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার তক্তারপুল এলাকার বিসমিল্লাহ টাওয়ারে বসবাস করতেন এবং বাকলিয়া থানা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

গুলিবিদ্ধ ও আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান দৈনিক সংবাদ সারাবেলা-কে জানান, “বাকলিয়ায় গুলির ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা বলেন, “সন্ত্রাসীরা গুলি চালানোর আগে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।”

নিহত সাজ্জাদের পিতা মো. আলম বলেন, “আমার ছেলেকে বন্ধুরা ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। কী নিয়ে বিরোধ হয়েছে জানি না। আমি শুধু চাই, আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার হোক।”

চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে দায়িত্বরত এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “এক্সেস রোড থেকে ১৫ থেকে ২০ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে, আবার কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।”

চমেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আশিক বলেন, “মো. সাজ্জাদ নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়াও গুলিবিদ্ধ আরও কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”

পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের কারণ ও কারা জড়িত তা জানতে তদন্ত চলছে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়