শিক্ষার্থীদের উপর হামলা প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

ইবি প্রতিনিধি। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:০৯, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ওপর হামলা ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটা ৪৫ মিনিটের দিকে ক্যাম্পাসের অনুষদ ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ওপর হামলা ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটা ৪৫ মিনিটের দিকে ক্যাম্পাসের অনুষদ ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের— ‘রাজাকার স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার’, ‘আমরা সবাই সজাগ রবো, রাজাকার রুখে দিবো’, ‘শিক্ষা সন্ত্রাস, একসাথে চলেনা’, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস ছাত্রদলের অঙ্গীকার’, ‘চবিতে হামলা কেনো প্রশাসন জবাব চাই’— ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন; সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ উদ্দিন, নুর উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থী ভাইদের উপর হামলা করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের — রাকসু নির্বাচনে যেন তারা ভোটার হতে পারে, সেই দাবি আদায়ে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে হামলা করেছে গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবাই ক্লাস পরীক্ষায়, তারা কেউ কোথাও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে মব সৃষ্টি করছে না, বিশৃঙ্খলা করছে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যাদের ব্যক্তিগত সংগঠন আছে তাদের নিজস্ব ব্যানার ব্যবহার করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থী ছদ্মনাম ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কলঙ্কিত করা যাবে না।’

ইন্টেরিম সরকারের উদ্দেশ্যে ছাত্রদলের আহ্বায়ক বলেন, ‘চবি প্রশাসন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাবি প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে, আমরা তাদের পদত্যাগ দাবি করছি। কেন শত শত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে আমরা সেটার জবাব চাই।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে  তিনি বলেন, ‘সাজিদ হত্যার খুনিরা যেন ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াতে না পারে। ছাত্রদলের দাবি— যত দ্রুত সম্ভব সাজিদের খুনিদের গ্রেফতার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন নিরাপদে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন শিক্ষার্থী কী পোশাক পড়বে, কে কীভাবে চলবে ফিরবে, কে হিজাব পড়বে, কে সাধারণ ড্রেস পড়বে— এসব প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার, এতে কারো হস্তক্ষেপ করা চলবে না। আবাসিক হলগুলো যেন দখল করা না হয়। অতিদ্রুত ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত লাইট ও সিসিটিভি বৃদ্ধি করুন, অর্থ নেই সেই নাটক বন্ধ করুন— নইলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।’

সেশনজট নিরসন নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট বৃদ্ধি হচ্ছে, এই সেশনজট দ্রুত বন্ধ করতে হবে। যদি সেশনজট বন্ধ করতে না পারেন তাহলে যারা হলের আবাসিক ও মেসে থাকে— সেই শিক্ষার্থীদের খাবারের টাকা দিতে হবে। আপনারা আরাম করবেন আর শিক্ষার্থীরা সেশনজটে থাকবে এটা হতে পারে না। অনেক শিক্ষার্থী একবেলা-দুইবেলা খায়, অনেকের অর্থ সংকটে বিস্কুট খেয়ে— এসব বিষয় প্রশাসনকে গুরুত্ব দিতে হবে।’

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়