‘ফের ইরানে হামলা হলে আগের চেয়ে ভয়াবহ জবাব পাবে ইসরায়েল’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল শেকারচি সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইসরায়েল আবার কোনো ধরনের আগ্রাসন চালায়, তাহলে ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হবে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, ধ্বংসাত্মক ও অনুশোচনামূলক।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল শেকারচি সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইসরায়েল আবার কোনো ধরনের আগ্রাসন চালায়, তাহলে ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হবে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী, ধ্বংসাত্মক ও অনুশোচনামূলক।
তিনি বলেন, ‘জেরুজালেম দখলদার শাসনের (ইসরায়েল) সম্ভাব্য যেকোনো হামলার জবাবে আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে আরও বেশি শক্তিশালী, তীব্র, কার্যকর। আর তা এমন ফল বয়ে আনবে যা তাদের গভীর অনুশোচনায় ফেলবে।’
জেনারেল শেকারচি বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ও ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধে ইরান জয়লাভ করেছে এবং ইহুদি শাসনের ওপর এক মারাত্মক আঘাত হেনেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একের পর এক পাল্টা আঘাতের মাধ্যমে এই অপরাধী শাসনকে তাদের আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করেছি।’
শেকারচি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি ইহুদি শাসন আবারও কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তারা আমাদের শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া অনুভব করবে।’
শুক্রবার ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী মোহাম্মদ নাঈনি বলেন, ‘ইসরায়েল যদি আবার কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে ইরান আর কোনো ‘লাল রেখা’ মানবে না।’
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে একটি উসকানিমূলক ও বিনা উসকানির আগ্রাসন চালায়, যেখানে ইরানের বহু উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও অসামরিক নাগরিক নিহত হন। এই হামলায় ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ অসামরিক অবকাঠামো— যেমন ইসলামি রিপাবলিক অফ ইরান ব্রডকাস্টিং ভবন, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, গ্রামাঞ্চল ও আবাসিক এলাকায় আঘাত হানে। এতে ৯০০-এর বেশি বেসামরিক লোক নিহত হন।
এর জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষত আইআরজিসির নেতৃত্ব দেয় ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’ নামের এক নজিরবিহীন প্রতিক্রিয়া অভিযানে। এই অভিযানে ইরান তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি নতুন প্রজন্মের শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে। এই হামলায় ইসরায়েলের সামরিক, গোয়েন্দা, শিল্প, জ্বালানি ও গবেষণা খাতের মূল অবকাঠামোগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয় এবং তারা কার্যত প্রতিরক্ষাহীন হয়ে পড়ে।
২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েল একতরফাভাবে আগ্রাসন বন্ধ করার ঘোষণা দেয়, যা ইসরায়েলের বিচ্ছিন্নতা ও পরাজয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।