পদ্মার চরে কাকন বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’
আবুল হাশেম রাজশাহী ব্যুরোঃ || বিএমএফ টেলিভিশন
রাজশাহীর বাঘা, নাটোরের লালপুর, পাবনার আমিনপুর ও ঈশ্বরদী এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে সন্ত্রাসী কাকন বাহিনীর বিরুদ্ধে চলছে পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএন সদস্যদের যৌথ অভিযান। পুলিশের পক্ষ থেকে এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’।
রাজশাহীর বাঘা, নাটোরের লালপুর, পাবনার আমিনপুর ও ঈশ্বরদী এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে সন্ত্রাসী কাকন বাহিনীর বিরুদ্ধে চলছে পুলিশ, র্যাব ও এপিবিএন সদস্যদের যৌথ অভিযান। পুলিশের পক্ষ থেকে এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’।
রোববার (৯ নভেম্বর) ভোর ৪টা থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে।
অভিযানে প্রায় ১ হাজার ২০০ সদস্য অংশ নিচ্ছেন—যার মধ্যে রয়েছেন পুলিশ, র্যাব এবং এপিবিএনের বিশেষ টিমের সদস্যরা।
রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র, মাদকদ্রব্য এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া কাকন বাহিনীর ২১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পদ্মার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে কাকন বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ডাকাতি, জমি দখল ও বালু লুটের মতো নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ বাহিনীর ভয়ে চার জেলার চরবাসী দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি হয়ে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর চরে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে কাকন বাহিনীর গুলিতে তিন কৃষক নিহত ও দুজন গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনার পর থেকেই প্রশাসন কঠোর অবস্থানে গিয়ে এই বিশেষ অভিযান শুরু করে।