সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন গোলাম রসুল

মেহেরপুর প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:০০, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল। মঙ্গলবার ৩টার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল। মঙ্গলবার ৩টার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনসহ একাধিক মামলা দায়েরের পর তিনি আত্মগোপন করেন। বেশ কিছুদিন আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ মঙ্গলবার সেখানেই একটি অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার দিবাগত গভীর রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য গুনাগ্রহী রেখে গেছেন।

আলহাজ্ব গোলাম রসুল ব্যক্তি জীবনে ছিলেন একজন সফল রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা। হোটেল বাজার থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর ব্যবসায়িক জীবন এবং সেই ব্যবসায়িক গদি ঘর থেকেই সূচনা হয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা। কর্মীবান্ধব এই মানুষটি ছিলেন মেহেরপুরের আওয়ামী রাজনীতির এক সফল ও জনপ্রিয় নেতৃত্ব। মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের অতীত ও বর্তমানের ইতিহাসে আলহাজ্ব গোলাম রসূলের নাম উচ্চারিত হবে প্রেরণার প্রতীক হিসেবে। রাজনীতির মাঠে তিনি যেমন ছিলেন অকুতোভয়, তেমনি ছিলেন সংগঠন নির্ভর ও কর্মীবান্ধব। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে তিনি মিছিলের অগ্রভাগে থেকেছেন, দলকে টিকিয়ে রেখেছিলেন নেতৃত্বের দৃঢ়তা ও সাহসিকতায়। রাজনৈতিক জীবনের এক পর্যায়ে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর উপর বোমা হামলাও চালানো হয়েছিল। মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের সোনালী অধ্যায়ে তাঁর নাম জড়িয়ে আছে।

রাজনীতির বাহিরেও তাঁর ছিল বহুমাত্রিক সম্পৃক্ততা, দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, মেহেরপুর জেলা হজ্ব সমিতির সভাপতি, মেহেরপুর চেম্বার অব কমার্সের অন্যতম দায়িত্বশীল সদস্য এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মেহেরপুর ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ মঙ্গলবার বাদ আছর হোটেল বাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।

এর আগে দুপুরে তার মরদেহ মেহেরপুর পৌঁছুলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের কান্নায় পুরো এলাকা শোকে স্তব্ধ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

Share This Article

আরো পড়ুন  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়