সংগ্রামের প্রতীক, গণতন্ত্রের রক্ষক বেগম খালেদা জিয়া

জহুরুল ইসলাম || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সকাল ০৮:৫০, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কম নেতা আছে যিনি দীর্ঘ সময় ধরে দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া সেই অল্প সংখ্যক নেতার একজন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া, বিরোধীদলের নেতা হিসেবে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করা, নারীর ক্ষমায়ন ও দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা—এসবই তাঁকে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দিয়েছে।

 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কম নেতা আছে যিনি দীর্ঘ সময় ধরে দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া সেই অল্প সংখ্যক নেতার একজন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া, বিরোধীদলের নেতা হিসেবে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করা, নারীর ক্ষমায়ন ও দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা—এসবই তাঁকে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দিয়েছে।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৮১ সালে, যখন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন দেশ রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ছিল। প্রথমে তিনি প্রতীকী নেতৃত্বের জন্য সামনে আসেন, কিন্তু দ্রুত প্রমাণ করেন যে তিনি নিজস্ব ক্ষমতা ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেশের রাজনীতিতে এক অবিচ্ছেদ্য নেতৃত্ব দিতে পারছেন

তিনি যে ধৈর্য, স্থিরচেতা মনোবল এবং নেতৃত্বগুণের অধিকারী, তা শুধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও প্রশংসিত। খালেদা জিয়ার জীবন, সংগ্রাম এবং অর্জন দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রেরণার এক অনন্য উৎস।

শৈশব, শিক্ষা ও পারিবারিক জীবন-শৈশব:

বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট বগুড়ায়।  তাঁর শৈশব শিক্ষা ও নৈতিকতার প্রতি নিবেদিত ছিল। ছোটবেলা থেকেই তিনি নেতৃত্ব গুণ এবং সামাজিক সচেতনতা প্রদর্শন করতেন। বিদ্যালয়ের নানা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, বক্তৃতা ও লেখালেখিতে আগ্রহ তাঁকে পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক জীবনের জন্য প্রস্তুত করে।

শিক্ষা জীবন:

খালেদা জিয়া প্রাথমিক শিক্ষা বগুড়ার স্থানীয় বিদ্যালয়ে সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ঢাকায় টিচার্স ট্রেনিং কলেজে ভর্তি হন। শিক্ষাজীবনের এই অভিজ্ঞতা তাঁকে সংগঠন, নেতৃত্ব এবং শিক্ষণপ্রতিভা অর্জনে সহায়ক হয়। শিক্ষাজীবনের অর্জিত আত্মবিশ্বাস ও জ্ঞানের ভিত্তি তাঁকে পরবর্তীতে রাজনৈতিক মঞ্চে শক্ত অবস্থানে দাঁড়াতে সাহায্য করে।

পারিবারিক জীবন:

১৯৬০ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর তিনি পারিবারিক জীবন যাপন করেন এবং দুই সন্তান—তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে লালন-পালন করেন।

খালেদা জিয়ার পারিবারিক জীবন তাঁকে সামাজিক ও নৈতিক ভিত্তি দিয়েছে। পরিবারে দায়িত্বশীলতা, পরিশ্রম এবং সততার শিক্ষাই তাঁর নেতৃত্বের ভিত্তি গড়ে তোলে।

রাজনৈতিক প্রবেশ-

১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর বিএনপি দল দিশেহারা হয়ে পড়ে। দলের নেতা ও সমর্থকরা সিদ্ধান্ত নেন, দলের ঐক্য রক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে নেতৃত্ব দিতে হবে।

সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-

১৯৮০-এর দশকে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে খালেদা জিয়া সক্রিয় ভূমিকা নেন। গ্রেপ্তার ও গৃহবন্দি হওয়ার পরও তিনি জনগণকে সংগঠিত করে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান। গ্রামীণ ও শহুরে জনগণকে একত্রিত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালানো তাঁর রাজনৈতিক দক্ষতার প্রমাণ।

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অবদান-

১৯৯০ সালের গণআন্দোলন এবং এরশাদের পতনের পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি দলের নেতৃত্ব ধরে রাখেন এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখেন।

রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দক্ষতা-

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বগুণ তাকে রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যেও দৃঢ়ভাবে নেতৃত্ব দিতে সাহায্য করেছে। জনগণ তাঁকে সংগঠক, ন্যায়পরায়ণ ও স্থিতিশীল নেতা হিসেবে গ্রহণ করে।

প্রধানমন্ত্রীত্বকাল (১৯৯১–১৯৯৬)-

১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। এর ফলে খালেদা জিয়া দেশের প্রথম নির্বাচিত নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তাঁর এই মেয়াদ শুধু প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন নয়, দেশের সংবিধানিক গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন-

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সংসদে দ্বাদশ সংশোধনী পাশ হয়। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা হ্রাস করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রীকে কার্যনির্বাহী প্রধান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

অর্থনীতি ও উন্নয়ন-

বৈদেশিক বিনিয়োগ: সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় করে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হয়।

রপ্তানি খাত: পোশাক শিল্প দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্প: সেতু, সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

শিক্ষা ও নারী ক্ষমায়ন-

প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার, মেয়েদের জন্য বৃত্তি, নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন—এসব উদ্যোগ দেশের সমাজে অধিকতর সমতার পরিবেশ সৃষ্টি করে।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা-

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের ঐক্য বজায় থাকে। বিরোধীদলীয় নেতারা যদি কখনো আন্দোলন চালান, খালেদা জিয়া সর্বদা সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে নেন। এই সময় দেশ রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল থাকে, যা পরবর্তী অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে।

রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার-

বিরোধী দল ও সংলাপ-

প্রথম মেয়াদে খালেদা জিয়ার সরকার বিরোধীদলের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যায়। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং সংলাপের মাধ্যমে দ্বন্দ্ব সমাধানের উদাহরণ তৈরি হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তুতি-

১৯৯৬ সালে স্বল্প মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পথ প্রস্তুত করেন। এই পদক্ষেপ দেশের গণতন্ত্রকে স্থিতিশীল রাখে এবং নির্বাচনের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে।

জনমতের সমর্থন-

গ্রামীণ ও শহুরে জনগণের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। জনগণ তাঁকে দৃঢ় নেতৃত্ব এবং স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে দেখে।

প্রধানমন্ত্রীত্বকাল (২০০১–২০০৬)-

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট বিপুল জয় লাভ করে। খালেদা জিয়া তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন।

দেশের উন্নয়ন-

অর্থনীতি: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স আয়ের রেকর্ড।

রপ্তানি ও শিল্প: পোশাক শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন।

যোগাযোগ ও অবকাঠামো: সড়ক, সেতু, টেলিযোগাযোগ উন্নয়ন।

শিক্ষা খাত: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার।

নারী ক্ষমায়ন-

নারী ক্ষমায়ন, শিক্ষার প্রসার ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে সরকার নতুন মাত্রা যোগ করে। গ্রামীণ অঞ্চলের নারীরা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী হয়।

নেতৃত্বগুণ-

খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব দলের ঐক্য বজায় রাখে এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রাখে। জনগণ তাঁকে দৃঢ়, সাহসী এবং বিশ্বাসযোগ্য নেতা হিসেবে মনে করে।

গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম-

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন সবসময় গণতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। তিনি আন্দোলন, প্রতিবাদ এবং সংলাপের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে রক্ষা করেছেন।

সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অবদান-

১৯৮০–৯০-এর দশকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। গ্রেপ্তার ও গৃহবন্দি হওয়ার পরও তিনি জনগণকে সংগঠিত করে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান।

বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে অবদান-

১৯৯৬–২০০১ সালে বিরোধী নেতা হিসেবে খালেদা জিয়া সরকারকে সমালোচনা করে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করেন।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি-

নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত।

গ্রেপ্তার ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতা-

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন কখনো সরল ছিল না। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনি গ্রেপ্তার হন। তবে এই সময়ে ও তাঁর লক্ষ্য ছিল দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা ও দলের ঐক্য রক্ষা।

সাহস ও দৃঢ়তা-

দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকার পরও তিনি মানসিকভাবে দৃঢ় ছিলেন। এই সময়ে তিনি বারবার দেশ ও দলের জন্য সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজেছেন।

রাজনৈতিক প্রভাব-

গ্রেপ্তারের পরও জনগণ তাঁকে সমর্থন করেছে। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান এবং দলের নেতৃত্ব অটুট থাকায়, বিএনপি এখনও তার প্রতীক হিসেবে দেশের রাজনীতিতে দৃঢ় অবস্থান রাখে।

ইতিবাচক অবদান ও প্রশংসা-

অর্থনৈতিক অবদান:

খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। বিদেশি বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স, রপ্তানি খাত এবং পোশাক শিল্পে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে।

শিক্ষা ও নারী ক্ষমায়ন-

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার, মেয়েদের জন্য বৃত্তি এবং গ্রামীণ নারীদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম দেশের সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির রক্ষা-

তিনি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালান এবং বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংলাপের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথ সুগম করেন।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি-

নেতৃত্ব, সাহস এবং গণতান্ত্রিক অবদানের কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাঁর সুনাম রয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বিশ্লেষক তাঁকে প্রশংসা করেছেন।

বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ মূল্যায়ন-

খালেদা জিয়া বর্তমানে দলের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। তাঁর রাজনৈতিক সংগ্রাম, নেতৃত্বগুণ এবং দেশপ্রেম দীর্ঘকাল স্মরণীয় থাকবে।

রাজনৈতিক প্রতীক-

বিএনপি দলের প্রতীক হিসেবে তিনি দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

নারীর ক্ষমায়ন ও প্রেরণা-

তিনি প্রমাণ করেছেন যে একজন নারী দৃঢ় মনোবল, সাহস ও নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ পদে পৌঁছাতে পারেন।

গণতান্ত্রিক ইতিহাসে অবদান-

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়।

বেগম খালেদা জিয়ার জীবন কেবল রাজনীতির কাহিনী নয়; এটি সংগ্রাম, সাহস, নেতৃত্বগুণ এবং গণতন্ত্র রক্ষার এক অনন্য প্রতীক। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া, দেশের অর্থনীতি ও শিক্ষা খাত উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া, নারীর ক্ষমায়নে অবদান রাখা—এসবই তাঁকে ইতিহাসে অনন্য করে তোলে।

তিনি প্রমাণ করেছেন যে দৃঢ় মনোবল, জনমতের প্রতি বিশ্বাস ও সাহসী নেতৃত্ব একজন নারীকে দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে পৌঁছে দিতে পারে। বাংলাদেশের জন্য খালেদা জিয়া একজন প্রেরণাদায়ক নেতা ও নারীর ক্ষমায়নের প্রতীক।

লেখক
রোটারিয়ান জহুরুল ইসলাম 
প্রধান সম্পাদক 
বিএমএফ টেলিভিশন ।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়