ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির দাবিতে পিটিশন ইসরায়েলে, স্বাক্ষর হাজারো ইসরায়েলির
আন্তর্জাতিক ডেস্ক। || বিএমএফ টেলিভিশন
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে স্বাক্ষর সংগ্রহে নেমেছে জাজিম নামের একটি অ্যাডভোকেসি সংস্থা। ইতোমধ্যে এ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাজিমের পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন ৭ হাজার ৫ শতাধিখ ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে স্বাক্ষর সংগ্রহে নেমেছে জাজিম নামের একটি অ্যাডভোকেসি সংস্থা। ইতোমধ্যে এ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাজিমের পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন ৭ হাজার ৫ শতাধিখ ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলে বসবাসরত বামপন্থি ইহুদি এবং আরবদের রাজনৈতিক সংগঠন জাজিম। এই সংগঠনটি মূলত বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে। সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিবেশের অধিবেশন শুরু হবে। তাদের লক্ষ্য তার আগেই ১০ হাজারের বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করে তাদের পিটিশন সেই অধিবেশনে পাঠানো।
জাজিমের পিটিশনে বলা হয়েছে, “ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া মানে ইসরায়েলের জন্য শাস্তি নয়, বরং এই অঞ্চলে ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি— উভয়ের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের পথে এক ধাপ অগ্রসর হওয়া।”
পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকেই যাবে এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ তার মন্ত্রিসভার যেসব কট্টরপন্থি ইহুদি নেতা যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে চাইছেন, তারা বর্ণবাদ ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েল ও ইসরায়েলিদের ভবিষ্যতেও সংকটের মুখে ফেলছেন।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের হামলার জবাব দিতে ২০২৩ সাল থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সে অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭০ হাজারের অধিক।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য। লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম অভিযানের বিপরীতে বিশ্বজুড়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিও দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি