গাজা যুদ্ধ তিন সপ্তাহের মধ্যে শেষ হতে পারে: ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক। || বিএমএফ টেলিভিশন
গাজায় লাগাতার সহিংসতা ও চরম নির্যাতনের অবসান হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২৬ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই একটি চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি দেখতে পাবেন।’
গাজায় লাগাতার সহিংসতা ও চরম নির্যাতনের অবসান হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২৬ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই একটি চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি দেখতে পাবেন।’
তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার বোমা বর্ষণ, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের হত্যা এবং চরম দুর্ভিক্ষজনিত মানবিক বিপর্যয়ের পরিস্হিতিতে চলমান যুদ্ধের খুব শিগগিরই সমাপ্তি হতে পারে।
গাজায় ভয়াবহ মানবিক অবস্থা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা শেষ হওয়া দরকার, কারণ না খেতে পাওয়া তো আছেই, তার চেয়ে খারাপ হচ্ছে মৃত্যু—পরিপূর্ণ মৃত্যু। মানুষ হত্যা হচ্ছে।’
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, আগেও ট্রাম্প এমন অনেক বক্তব্য দিয়েছেন, কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়নের কোনো দৃষ্টান্ত নেই। এর আগেও তিনি যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও গাজায় যুদ্ধবিরতি তো হয়নি বরং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোও বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
কারণ এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন অতীতে ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টাও বাতিল করেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে সরিয়ে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা আন্তর্জাতিক আইনে জাতিগত নিধনের সামিল।
গত সোমবারই গাজার নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিকও ছিলেন।
এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলে ট্রাম্প জানান, ‘এটা দেখে আমি খুশি নই। আমি এটা দেখতে চাই না। একই সঙ্গে, এই দুঃস্বপ্নেরও একটা শেষ দরকার।’
তবে এ বক্তব্যের পর তিনি দ্রুতই গাজায় আটক থাকা ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তির প্রচেষ্টার দিকেই আলাপ ঘুরিয়ে দেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো গাজার পরিস্থিতিকে মানব ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে উল্লেখ করেছে। এমন বাস্তবতায় ট্রাম্পের বক্তব্যকে অনেকেই রাজনৈতিক কৌশল বলেই দেখছেন।
সূত্র: আল-জাজিরা