আমেরিকার পতাকা পোড়ালে ১ বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:২৬, মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় এক বছরের কারাদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রেখে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। সোমবার (২৫ আগস্ট) এই আদেশ জারির পর তিনি জানান, পতাকা পোড়ালে আগাম মুক্তি ছাড়াই এক বছর জেলে থাকতে হবে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় এক বছরের কারাদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রেখে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। সোমবার (২৫ আগস্ট) এই আদেশ জারির পর তিনি জানান, পতাকা পোড়ালে আগাম মুক্তি ছাড়াই এক বছর জেলে থাকতে হবে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য।

ট্রাম্প মনে করেন, পতাকা পোড়ানো ‘আইনবিরোধী কার্যক্রমকে উসকে’ দিতে পারে। নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এই ধরনের অপরাধে জড়িত কোনো বিদেশি নাগরিকের ভিসা বাতিল করে তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হবে। ট্রাম্প বলেন, “এক বছর জেলে যেতে হবে। সেটা রেকর্ডে থেকে যাবে। তখনই পতাকা পোড়ানো বন্ধ হতে দেখবেন।”

তবে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আদালত দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন যে, পতাকা পোড়ানো মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অংশ এবং এটি সংবিধানের প্রথম সংশোধনী দ্বারা সুরক্ষিত। ১৯৮৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে একটি রায়ও দিয়েছিলেন।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন এই আদেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বাক্‌স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন ফায়ার এক বিবৃতিতে বলেছে, "ট্রাম্প হয়তো মনে করছেন, কলমের এক খোঁচায় সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বদলে দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তাঁর সেই ক্ষমতা নেই।" তাদের মতে, এই আদেশ নাগরিক স্বাধীনতার মূলভিত্তিকে আঘাত করেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করেছে যে, বিদেশি নাগরিকেরা পতাকা পুড়িয়ে মার্কিন নাগরিকদের ভয় দেখাচ্ছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন। তবে এর স্বপক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ দেওয়া হয়নি।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়