ইসরায়েলকে ‘দখলদারি অপরাধ’ চালিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:১৪, সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ফিলিস্তিনি জনগণ ‘সবচেয়ে ভয়াবহ দমন-পীড়ন ও গণহত্যার’ শিকার হচ্ছেন। তিনি একে আন্তর্জাতিক আইনের নজিরবিহীন লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেন।

সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ফিলিস্তিনি জনগণ ‘সবচেয়ে ভয়াবহ দমন-পীড়ন ও গণহত্যার’ শিকার হচ্ছেন। তিনি একে আন্তর্জাতিক আইনের নজিরবিহীন লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেন।

আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) জেদ্দায় ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের ২১তম বিশেষ অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রিন্স ফয়সাল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহলের নীরবতা এসব অপরাধকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি-নিরাপত্তার সম্ভাবনাকে দুর্বল করছে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, ইসরায়েলকে ‘দখলদারি অপরাধ’ চালিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। গাজা সিটি দখলের চেষ্টা এবং দখলদারিত্ব বিস্তারের মতো নীতিগুলো বন্ধ করতে হবে।

সৌদি মন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, এসব অব্যাহত লঙ্ঘন শান্তির পথ রুদ্ধ করছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অস্থিরতা বাড়াচ্ছে।

ফিলিস্তিন প্রশ্নে সৌদি আরবের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ১৯৬৭ সালের ৪ জুনের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারকে তারা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন।

তিনি দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকেই ‘ন্যায়সঙ্গত ও একমাত্র বিকল্প’ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত অপরাধ ও ‘দণ্ডহীনতা’ আন্তর্জাতিক শান্তি-নিরাপত্তার ভিত্তিকে দুর্বল করছে।

প্রিন্স ফয়সাল দেশগুলোকে আহ্বান জানান, যারা এখনও ইসরায়েলের কার্যক্রম নিন্দা করতে দ্বিধায় রয়েছে, তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তিনি জানান, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, যা এই সংগ্রামের ন্যায্যতার প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন।’

এছাড়া তিনি গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করার আহ্বান জানান এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার প্রক্রিয়াকে সহায়তা দিয়ে বৈধ প্রতিনিধিত্ব আরও সুদৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়