শাহ আরফিন টিলায় চাঁদাবাজিতে বাধা দিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: আহত অন্তত ৫০
জামরুল ইসলাম রেজা, ছাতক প্রতিনিধিঃ || বিএমএফ টেলিভিশন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের শাহ আরফিন টিলা এলাকায় পাথর উত্তোলন নিয়ে চাঁদাবাজি ও জমি দখলকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের শাহ আরফিন টিলা এলাকায় পাথর উত্তোলন নিয়ে চাঁদাবাজি ও জমি দখলকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং, সকাল আনুমানিক ১০টায় চিকাডহর মৌজার এস.এ-৮৯নং দাগভুক্ত জমিতে মালিকানা দাবিদার পরিবারের সদস্য ইকবাল হোসেন দেখতে পান, তার পিতার রেকর্ডীয় জমি থেকে একটি সংঘবদ্ধ দল পাথর উত্তোলন করছে। তিনি বাঁধা দিলে ইউনুস আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন আনাইয়ের নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালানো হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ধারালো দা, কিরিচ, ছুলফি, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে হামলাকারীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইকবাল হোসেনের বাবা এবং সাক্ষীদের ওপর এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। ১নং সাক্ষীর মাথায় দা দিয়ে কোপানো হয়, পরে ডান হাতেও গুরুতর কোপ লাগে। অন্য স্বাক্ষীদের ওপরও একইভাবে হামলা চালানো হয়। এ সময় আহতদের মধ্যে ছায়েদ মিয়া, ফিরুজ মিয়া, সাজু মিয়া, রাজু মিয়া, সাদমান আহমদ, করিম উল্লাহ, জাকির হোসাইন, হাবিবুর রহমান, রায়হান মিয়াসহ অনেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে গুরুতরদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বহুবার উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করতে চাইলেও অভিযুক্তরা তা উপেক্ষা করে জমিতে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখে। এমনকি অভিযোগকারীর দাবি, জায়গাটিতে তারা বেআইনিভাবে চাঁদা আদায় ও দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে এ ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে অভিযুক্ত প্রধান আসামি আনোয়ার হোসেন আনাই মিয়া ঘটনার বিষয়ে জানান, সংঘর্ষ হয়েছে আমার রেকর্ডকৃত জায়গাকে কেন্দ্র করে। তবে এখানে চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি।