কুষ্টিয়া জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে সেনাসদস্য সহ তিন জনকে মারধর
আজিজুল ইসলামঃ || বিএমএফ টেলিভিশন
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানাধীন সুগ্রীবপুর ক্লাব মোড় এলাকায়, একই পরিবারের তিন সদস্যকে মারধর করে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১১ নভেম্বর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানাধীন সুগ্রীবপুর ক্লাব মোড় এলাকায়, একই পরিবারের তিন সদস্যকে মারধর করে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১১ নভেম্বর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—সুগ্রীবপুর এলাকার মোঃ সাইফ মেহেদী শাহারুল, তার ভাই সেনা সদস্য সালমান মেহেদী এবং তাদের পিতা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ শহিদুল আলম রাসেল।
ঘটনার পর, গত ১৩ নভেম্বর, ভুক্তভোগী মোঃ সাইফ মেহেদী শাহারুল সাতজনকে অভিযুক্ত করে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইবি আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নংঃ ইবি সি.আর ২৮৪/২৫। আদালত মামলা গ্রহণ করে তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন—একই এলাকার তৌহিদ হোসেন, রশিদ উদ্দীন মন্ডল, ফারুক রেজা, শাহাবুদ্দিন, সামাদ উদ্দীন, সোহাগ হোসেন ও বাবলু। তারা ভুক্তভোগীদের চাচা ও চাচাতো ভাই বলে জানা গেছে।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, জমি-জমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগীদের প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে—যার মধ্যে রয়েছে কলা, বাঁশ, মেহগনি গাছ, সিসিটিভির তার কেটে নেওয়া এবং জমি দখলের অভিযোগ। এছাড়া বাদীর পিতা শহিদুল আলম রাসেলকে বাড়িতে আটক রেখে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও করা হয়েছে।
গত ৯ নভেম্বর ছুটিতে বাড়ি আসেন সেনা সদস্য সালমান মেহেদী। অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাবলী সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। পরে মধুপুর বাজারে যাওয়ার পথে তার ওপর অস্ত্রের মুখে হামলা করা হয় এবং পকেটে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সালমানকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তার ভাই সাইফ মেহেদী ও বাবা শহিদুল আলমকেও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয় এবং বাদীর পকেটে থাকা ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠান। এরপর আবারও তাদের প্রায় ২০ হাজার টাকার কলা কেটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মামলার বাদী সাইফ মেহেদী বলেন, "এর আগেও আমাদের ওপর হামলা ও ফসল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ইবি তথানায় মামলা ও জিডি করেও কোনো সহয়তা পাইনি। নিউজ হয়েছে,প্রশাসনের টনক নড়ে নি।যারা আমাদের উপর হামলা করেছে তাদের নাকি অনেক পাওয়ার। আমরা ন্যায়বিচার চাই।"
এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঃ মোরাদুল ইসলাম বলেন, “আদালত থেকে নথি পত্র এখনও পাইনি। নথি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”