নিজের ভেতর আলো জ্বালানোর প্রয়োজন
শিরিন আকতার || বিএমএফ টেলিভিশন
আমরা এমন এক সময়ে বাস করি, যেখানে চারপাশে শব্দ, ব্যস্ততা ও চাপের অন্ত নেই। প্রতিটি মুহূর্তে আমরা খবর, সামাজিক যোগাযোগ, কাজের চাপে আবদ্ধ। আশ্চর্য হলেও সত্য—এই ভিড়ের মাঝেই মানুষ সবচেয়ে একলা। সম্পর্ক আছে, প্রযুক্তি আছে, তথ্য আছে—কিন্তু নেই ভেতরের স্বস্তি, নেই নিজের সঙ্গে সত্যিকারের সংযোগ।
আমরা এমন এক সময়ে বাস করি, যেখানে চারপাশে শব্দ, ব্যস্ততা ও চাপের অন্ত নেই। প্রতিটি মুহূর্তে আমরা খবর, সামাজিক যোগাযোগ, কাজের চাপে আবদ্ধ। আশ্চর্য হলেও সত্য—এই ভিড়ের মাঝেই মানুষ সবচেয়ে একলা। সম্পর্ক আছে, প্রযুক্তি আছে, তথ্য আছে—কিন্তু নেই ভেতরের স্বস্তি, নেই নিজের সঙ্গে সত্যিকারের সংযোগ।
আমরা প্রায়শই অন্যকে বোঝানোর চেষ্টা করি, অথচ নিজের মনকে বোঝার চেষ্টা করি খুব কম। চারপাশের কোলাহলে সত্যিকারের ‘নিজেকে’ শুনতে পাই না। তাই ভুল পথ, ভুল মানুষ, ভুল সিদ্ধান্ত—এগুলো আমাদের ক্লান্তি বাড়ায়, বিভ্রান্ত করে।
আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিজের ভেতরের আলোকে অবহেলা না করা। সেই আলো আমাদের পথ দেখায়, শান্তি দেয়, এবং শক্তি যোগায়। এই আলো জ্বলে ওঠে তখনই, যখন আমরা নিজেকে সময় দেই, নিজের অনুভূতিকে গ্রহণ করি, নিজের সীমা ও শক্তি দুটোই সমানভাবে মূল্যায়ন করি।
নিজেকে জানার এই যাত্রা কোনো বিলাসিতা নয়; এটি জীবনের প্রয়োজনীয় অংশ। যার ভেতরে আলো থাকে, সে বাইরের অন্ধকারকেও সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে। ভেতরের শান্তি মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে, সম্পর্ককে গভীর করে, এবং প্রতিদিনের ছোট ছোট সিদ্ধান্তকেও অর্থপূর্ণ করে তোলে।
যেদিন আমরা নিজের ভেতরের সত্যকে গ্রহণ করতে শিখব, সেদিনই শুরু হবে নতুন এক স্বাধীনতা—একটি নীরব কিন্তু শক্তিশালী মুক্তি। সেই মুক্তি আমাদের জীবনকে শুধুই সুন্দর করে না, বরং অন্যকে দেখার দৃষ্টিকোণও পরিবর্তন করে। ছোট্ট সচেতনতা, একটু সময়, নিজের প্রতি সদয় দৃষ্টি—এই সবকিছু মিলে তৈরি করে এক সমৃদ্ধ জীবন।
শেষ কথা: নিজের আলোকে কখনো অবহেলা করবেন না। কারণ যে মানুষ নিজের ভেতরে আলোকিত, তার চারপাশের জগৎও আলোকিত হয়।
---লেখক পরিচিত :
শিরিন আকতার -সমাজভাবনা ও আত্নবোধের লেখক, যিনি নারীর শক্তি, মানবিকতা ও জীবনের গভীরতা নিয়ে নিয়মিত লেখেন।।