কুষ্টিয়া দিনে ও রাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সকাল ০৮:৫২, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মন্ডপগুলোতে চলছে নানা প্রস্ততির ব্যস্ততা, ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পী ও আয়োজকেরা। এবার কুষ্টিয়া জেলায় ২৫০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা গতবারের চেয়ে ২২টি বেশি।নির্বিঘ্নে পূজা প্রস্তুতি ও অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন,বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চলছে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ। আবার কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ। আপনমনে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। এখন শেষ সময়ের পূজার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আয়োজকেরা।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা সামনে রেখে কুষ্টিয়ার মন্ডপগুলোতে চলছে নানা প্রস্ততির ব্যস্ততা, ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পী ও আয়োজকেরা। এবার কুষ্টিয়া জেলায় ২৫০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা গতবারের চেয়ে ২২টি বেশি।নির্বিঘ্নে পূজা প্রস্তুতি ও অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে প্রশাসন,বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চলছে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ। আবার কোথাও শুরু হয়েছে রঙের কাজ। আপনমনে প্রতিমাগুলো ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পীরা। এখন শেষ সময়ের পূজার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আয়োজকেরা।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ প্রতিমাশিল্পীরা ৫টি থেকে ১০টি পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করেছেনপ্রতিমাশিল্পী কুমারেশ দাস ও মুতু্যূঞ্জয় কুমার পাল জানান, শেষ সময়ে প্রতিমাশিল্পীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে চাহিদাও বেশিএদিকে সবার সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে চান আয়োজকরা।

 হরিবাসর সার্বজনীন পূজা মন্দিরের উপদেষ্টা বিপ্রজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘আশা করছি প্রতিবছরের মতো এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের সহযোগিতা ও আশ্বাসে আমরা আমাদের পূজার কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি।’

মিলপাড়া সাবর্জনীন পূজা মন্দিরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাপ্পী বাগচী বলেন, প্রত্যেক ধর্মকে সন্মান জানানো প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে এলাকার সবাই আমাদের পাশে থাকেন।

কুষ্টিয়া মহাশ্মশান মন্দিরের পুরোহিত পলাশ চক্রবর্ত্তী বলেন, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হবে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এবার পৃথিবীতে দশভুজার আগমন হবে হাতিতে চড়ে, আর কৈলাশে ফিরবেন দোলায় করে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় ২৫০ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৮১টি, খোকসা উপজেলায় ৫৯টি, কুমারখালী উপজেলায় ৫৯টি, মিরপুর উপজেলায় ২৮টি, ভেড়ামারা উপজেলায় ১১টি ও দৌলতপুর উপজেলায় ১২টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। এবার ২২টি মণ্ডপ বেড়েছে বলে জানান তিনি।

কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আডভোকেট জয়দেব বিশ্বাস বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশাসনের সাথে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। এ ছাড়া ১৯টি ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপের তালিকা প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিটি পূজামণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মণ্ড ও মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে।

Share This Article

আরো পড়ুন  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়