কুষ্টিয়ায় কয়েলের আগুনে পুড়ে ছাই হলো নজরুলের স্বপ্ন
আজিজুল ইসলাম ইবি প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড খেজুরতলা গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম নজু'।গতকাল ১৩ জুন গোয়াল ঘরে কয়েলের আগুন থেকে তার লালিত একটি গরু, ৩টি ছাগল ও ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অন্যের জমিতে দিনমজুরীর কাজ করে খেয়ে না খেয়ে একটু একটু, একটু করে গরু ও ছাগল কিনেছিলেন। দিন এনে দিন খেয়ে সামান্য কিছু টাকা সঞ্চয় করে একটু সুখের আশায় গরু ও ছাগল লালন-পালন করছিলেন নজরুল৷ ভেবেছিলেন গরু-ছাগল বিক্রয় করে কিছু টাকা পেলে হয়তো পরিবারে সুদিন ফিরবে ! কিন্তু এক কালোরাতেই দিনমজুর নজরুলের সব স্বপ্ন শেষ। সর্বনাশা কয়েলের আগুন এক মুহূর্তেই সব কিছু শেষ করে দিলো। শেষ করে দিলো তাদের বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বনটুকু।
বাড়ির মালিক নজরুল ইসলাম নজুর সাথে গোয়াল ঘরে আগুনের বিষয়ে কথা বল্লে তিনি জানান,যে অতিরিক্ত মশার কারণে রাতে মশার কয়েল ধরিয়ে আমি শুয়ে পড়েছি।সারাদিন খাটা খাটনির শরীর ক্লান্ত অবস্থায় কখন ঘুমিয়ে গেছি নিজেই বুঝতে পারিনি।এর পরে গভীর রাতে আগুনের তাপ শরীরে অনুভব করে উঠে দেখি, আগুনের লেলিহান শিখা দাহ, দাহ করে জ্বলছে।ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে।সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।তিনি বলেন প্রায় তিন লক্ষ টাকার মত পুজি শেষ।আমার শেষ জীবণে আর কিছু নেই,তিলে তিলে গড়া আমার পরিবারের সবার স্বপ্ন।
এলাকার জনসাধারণ বলছে যে গোয়াল ঘরের পাশে খড়ের গাদি থাকায় আগুন অতি দ্রত চারিদিকে ছড়ি যায়।আমরা অনেক চেষ্টা করেছি,কিন্তু রক্ষা করতে পারিনি নজরুল ইসলামের পরিবারের স্বপ্ন।অশ্রুশিক্ত নয়নে পুড়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো চেয়ে দেখা ছাড়া আর যেনো কিছুই করার ছিলো না আমাদের।
তবে সমাজের বিত্তবানরা যদি এই দিনমজুর নজরুলের পাশে দাঁড়ায়,সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়,তবে সে তার পরিবারকে নিয়ে একটু শান্তিতে থাকতে পারবে।