সমাবর্তনের অপেক্ষায় ইবি শিক্ষার্থীরা

মো. মিনহাজুর রহমান মাহিম, ইবি প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:১৯, শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

শিক্ষাজীবনের শেষ মুহূর্তে কালো গাউন আর সনদ হাতে সমাবর্তনে অংশ নেওয়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরই এক বিশেষ স্বপ্ন। তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিয়মিত সমাবর্তন না হওয়ায় সেই স্বপ্ন বছরের পর বছর ধরেই অপূর্ণ রয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার ৪৭ বছরে মাত্র চারটি সমাবর্তন হওয়ায় বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।

শিক্ষাজীবনের শেষ মুহূর্তে কালো গাউন আর সনদ হাতে সমাবর্তনে অংশ নেওয়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরই এক বিশেষ স্বপ্ন। তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিয়মিত সমাবর্তন না হওয়ায় সেই স্বপ্ন বছরের পর বছর ধরেই অপূর্ণ রয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠার ৪৭ বছরে মাত্র চারটি সমাবর্তন হওয়ায় বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।

তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি। সেখানে ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১১-১২ পর্যন্ত স্নাতক, ২০১৪-১৫ পর্যন্ত স্নাতকোত্তর এবং ২৩৬তম সিন্ডিকেট অনুমোদিত এমফিল-পিএইচডি ডিগ্রিধারীরা অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ উপস্থিত থেকে সনদ বিতরণ করেন।
এর আগে ১৯৯৩, ১৯৯৯ ও ২০০২ সালে আরও তিনটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

নিয়মিত সমাবর্তন না থাকায় শিক্ষার্থীদের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শেষে প্রভিশনাল সার্টিফিকেট নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হচ্ছে। এতে প্রশাসনের গাফিলতি ও সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা। উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার ৩২৮ জন স্নাতক এবং ২০১৫-১৬ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ৩৭ জন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন বছরের বহু এমফিল ও পিএইচডি গবেষকও ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী সালমান হোসেন বলেন, “সমাবর্তন শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার সুযোগ। অনেক এলামনাই আছেন যাদের সঙ্গে আমাদের পরিচয়ের সুযোগ হয়নি। নিয়মিত সমাবর্তন হলে নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হতো।”

বর্তমান বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদা আক্তার মিমির বক্তব্য “৪৬ বছরে ৪ সমাবর্তন, এটা সত্যিই হতাশাজনক। সমাবর্তন শিক্ষাজীবনের এক বিশেষ অধ্যায়ের সমাপ্তি। আমরা চাই যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আর পিছিয়ে না থাকে।”

আইসিটি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান রাজু জানান, “প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর সমাবর্তন হয়, কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ব্যবধান। অন্তত দুই-তিন বছর পর পর হলেও সমাবর্তন হওয়া উচিত।”

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী জানুয়ারিতে সমাবর্তনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বাড়তি দায়িত্বের কারণে তা পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছরের শেষ দিকে সমাবর্তনের চেষ্টা থাকবে। এছাড়া বিদেশে উচ্চশিক্ষার আবেদন করতে মূল সনদ লাগে। সে জন্য অর্ডিন্যান্স সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।”

Share This Article

আরো পড়ুন  

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়