নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ডাচ মন্ত্রীকে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
ডেস্ক রিপোর্ট। || বিএমএফ টেলিভিশন
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার পাসকাল গ্রোটেনহুইস ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে মতবিনিময় করেন দুই পক্ষ।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আগামী নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, কারণ দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।
ড. ইউনূস বলেন, আগের স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি ‘কারচুপির নির্বাচনে’ ভোট দিতে না পারা রেকর্ডসংখ্যক নতুন ভোটার এবার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যে তরুণেরা গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের দেয়ালে গ্রাফিতি ও চিত্র এঁকেছিলেন, এখন তারাই ভোট দিতে আসবেন।’
ডাচ ভাইস মিনিস্টার বাংলাদেশের নির্বাচন প্রস্তুতি প্রশংসা করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে প্রস্তুতির জন্য সময় ছিল খুব সীমিত, তারপরও তারা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
পাসকাল গ্রোটেনহুইস বাংলাদেশের শ্রম আইন সংস্কারকেও স্বাগত জানান। তিনি বলেন, শ্রম খাতে সাম্প্রতিক সংস্কার নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ভূমিকা রাখবে। চলতি মাসের শুরুতে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি গতকাল এসব আইনে স্বাক্ষর করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাবলিকুপ্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করার পরিকল্পনা করছে নেদারল্যান্ডস। তাঁর আশাবাদ, খুব শিগগিরই এ চুক্তি সম্পন্ন হবে এবং বাংলাদেশের প্রতি ডাচ বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ‘পঞ্চাশ বছর ধরে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এখন আমরা এই সম্পর্ককে সমতা ও অংশীদারত্বের ভিত্তিতে রাজনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে উন্নীত করতে চাই।’
ডাচ ভাইস মিনিস্টার আরও জানান, নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন কোম্পানি যারা এত দিন বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করেছে, তারা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী এবং সরাসরি অংশীদার হিসেবে কাজ করতে চায়।
বৈঠকে কৃষি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, যুব উন্নয়ন এবং তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়।