বিএনপির দুঃসময়ে দলের হাল ধরেছিলেন খালেদা জিয়া, জুবাইদাও কি একই পথে হাঁটবেন?

ডেস্ক রিপোর্ট। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:২৩, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

বিএনপির দুঃসময়ে যেমন দলের হাল ধরেছিলেন খালেদা জিয়া, ঠিক তেমনই কি এবার সামনে আসছেন তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান? স্বামী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দীর্ঘ ১৭ বছর বিদেশে থাকার পর তার হঠাৎ ঢাকায় ফেরা, অসুস্থ শাশুড়ির চিকিৎসায় ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হওয়া এবং এই সময়ে তার সক্রিয় উপস্থিতি—সব মিলিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন, সংকটময় এই সময়ে ডা. জুবাইদা রহমান কি আরও বড় দায়িত্ব নিতে পারেন?

বিএনপির দুঃসময়ে যেমন দলের হাল ধরেছিলেন খালেদা জিয়া, ঠিক তেমনই কি এবার সামনে আসছেন তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান? স্বামী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দীর্ঘ ১৭ বছর বিদেশে থাকার পর তার হঠাৎ ঢাকায় ফেরা, অসুস্থ শাশুড়ির চিকিৎসায় ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হওয়া এবং এই সময়ে তার সক্রিয় উপস্থিতি—সব মিলিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন, সংকটময় এই সময়ে ডা. জুবাইদা রহমান কি আরও বড় দায়িত্ব নিতে পারেন?

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাকা ছেড়েছিলেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। এরপর আর দেশে ফেরা হয়নি তার। দীর্ঘ ১৭ বছর স্বামীর সঙ্গে পরবাসেই থাকতে হয়েছে তাকে।

৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর চিকিৎসা নিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন গেলে তার সঙ্গে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরেন ডা. জুবাইদা রহমান। তারেক রহমানের আগে জুবাইদা রহমানের ঢাকায় আগমন ঘিরে অনেকের মাঝে কৌতুহল দেখা দেয়। সে সময় কিছুদিন থেকে আবারও লন্ডন ফেরত গিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে, গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন। এই মেডিকেল বোর্ডে তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমানও সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

খালেদা জিয়াকে যখন আবারও সংকটময় অবস্থায় লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার কথা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে আবারও ঢাকায় এসেছেন ডা. জুবাইদা রহমান। লন্ডন থেকে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় নেমেই শাশুড়িকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। সারাদেশ খালেদা জিয়ার জন্য প্রার্থনায় মগ্ন- এমন ক্রান্তিকালে আবারও সবার ভরসাস্থল হয়ে দেশে এসেছেন জুবাইদা। তার এমন দায়িত্বশীল ভূমিকায় সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, বিএনপির দুঃসময়ে দলের হাল ধরেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া, জুবাইদাও কি একই পথে হাঁটবেন?

যদি ডা. জুবাইদা রহমান সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হন, তাহলে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন একটি সমীকরণ সৃষ্টি হতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তিনি দীর্ঘদিন একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন এবং রাজনীতির নানা স্তরে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। ফলে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া তার জন্য খুব একটা চ্যালেঞ্জ হবে না।

এর আগে, গত অক্টোবরের শুরুর দিকে, বিবিসি বাংলাকে সাক্ষাৎকার দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে তার স্ত্রী বা মেয়ে রাজনীতিতে আসবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক জানিয়েছিলেন, একজন চিকিৎসকের সন্তান যখন চিকিৎসক হয় তখন সে ভালোও করে, সে খারাপও করে। একজন লয়ারের সন্তানও দেখা যায় যে অনেক সময় বাবা-মায়ের মতন ভালো লয়ার (আইনজীবী) হয় অথবা হয় না। রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে অনেকের সন্তান পলিটিক্সে এসেছে। সবাই কি ভালো করেছে? সবাই ভালো করেনি। কেউ কেউ করেছে কেউ কেউ ভালো করতে পারেনি।

তারেক রহমান আরও জানান, রাজনীতিতে পরিবারকরণ হয় না। এটি সমর্থনের ভিত্তিতে হয়। কাজেই যে অর্গানাইজ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনে যেতে পারবে সে এগিয়ে যেতে পারবে। কেউ যদি এগিয়ে যেতে না পারে, তাহলে সে এগিয়ে যেতে পারবে না। সময় পরিস্থিতি সবকিছু প্রমাণ করে দিবে।

এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ বলছেন, ডা. জুবাইদা রহমানের সক্রিয় রাজনীতিতে আসা বিএনপির জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দীর্ঘদিন ধরে দলটি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অভাবে একটি নৈতিক ও সাংগঠনিক শূন্যতায় ভুগছিল। তার উপস্থিতি এই শূন্যতা অনেকটাই পূরণ করতে পারে। এতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ ঐক্য, নৈতিক ভিত্তি এবং জনসমর্থন পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়