ইবির ৮ অনুষদের ৩৫ শিক্ষার্থীকে ডিন'স অ্যাওয়ার্ড প্রদান
মো. মিনহাজুর রহমান মাহিম ইবি প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ৮টি অনুষদের মধ্যে থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ডিন'স অ্যাওয়ার্ড, সনদ ও নগদ অর্থ প্রদান ২০১৮-১৯ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২৪ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন'স কমিটির সভাপতি, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও ডিন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক।
এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খোন্দকার তৌহিদুল আনাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরিন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ও জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বাবলী সাবিনা আজহার।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, "যে অবস্থায় পূর্বে এ দেশ ছিল সেখানে মেধার মূল্যায়ন তো অনেক দূরে, এই মেধাবী শব্দটিই আমরা ভুলতে বসেছিলাম। সেখান থেকে দেশ আজ উঠে এসেছে। মাঝখানে হারিয়ে গেছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। সেই ঝরে যাওয়া প্রাণের বিনিময়ে তোমাদের এই মেধার মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তোমাদের অঙ্গীকার করতে হবে। দেশের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে, সেই দেশের উন্নয়নে তোমরা কাজ করে যাবে।"
তিনি আরও বলেন, "তোমাদের মতো মেধাবীদেরকেই সমাজের অন্যায়, বৈষম্য ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে হবে।"
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "একটি জাতির উন্নয়ন নির্ভর করে সে দেশের মেধাবী মানুষদের যথাযথ ভূমিকার উপর। মেধাবীদের এই ভূমিকা বিভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। মেধাবীরা নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা সমাজের সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধান বের করে। দেশে নীতি-নির্ধারক, শিক্ষক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, চিকিৎসক প্রভৃতি ক্ষেত্রে মেধাবী তৈরি করছি আমরা।"
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, "এই মেধার হিসাব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই আজকের পরিবর্তিত বাংলাদেশ। মেধাবীদের সুযোগ করে দিতেই সেদিন সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল। সে সংগ্রাম দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছড়িয়ে গিয়ে পরিণত হয়েছিল সাধারণ জনতার অভ্যূত্থানে। যেখানে প্রায় দুই হাজার মানুষ শহীদ হন। মেধাবীদেরকে সেই আন্দোলনকে, সেই প্রাণ বিসর্জনকে সম্মান জানাতে হবে। ভুলে যাওয়া যাবেই না।
তিনি আরও বলেন, "দেশ গঠনে, একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনে যথাযথ ভূমিকা পালন করে স্বার্থক, উন্নত দেশ গঠনে ব্রতী হয়েই তোমাদের এই সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।"